মানব ও জীব সৃষ্টিতত্ত্বঃ

পানি থেকে জীব সৃষ্টিঃ

★ মানুষ সৃষ্টি পানি দিয়ে।[সুরা ফুরকান;৫৪]-
আধুনিক বিজ্ঞান এটার সাথে একমত ।

★ আল্লাহ সমস্ত জীব-জন্তু সৃষ্টি করেছেন পানি দিয়ে।[সুরা নুর;৪৫]-বিজ্ঞান ও এই কথাই বলছে।


★ সুরা আম্বিয়া (২১) ৩০ নং আয়াত – প্রানবান সবকিছু সৃস্টি করলাম পানি হতে তবুও কি তারা বিশ্বাস করবে না? 

মানুষের সৃষ্টি (A) 

★ সুরা মোমেনুন (২৩) ১২ নং আয়াত আল্লাহ বলেছেন – আমি তো মানুষকে সৃস্টি করেছি মৃত্তিকার মুল উপাদন থেকে। 

★ সুরা সাজদাহ (৩২) ৭,৮ নং আয়াত আল্লাহ বলেছেন – যিনি তার সকল কিছু সৃজন করেছেন উত্তম রুপে এবং কাদা মাটি হতে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন।অতঃপর তার বংশ উৎপন্ন করেছেন তুচ্ছ তরল পর্দাথের নির্যাস থেকে। 

★ সুরা সোয়াদ (৩৮)৭১ নং আয়াত- আল্লাহ বলেছেন – আমি মানুষকে সৃস্টি করেছি মাটি হতে । 

★ সুরা ফুরকান (২৫) ৫৪ নং আয়াত আল্লাহ বলেছেন -আমি তোমাদের সৃস্টি করেছি পানি হতে। 

মানুষের সৃস্টি মাটি ও পানি হতে এবং আল্লাহই সৃস্টি করেছেন। 

_____



★ ভ্রুন দেখতে জোঁকের মত। [সুরা আলাক;১-২]-
বর্তমান বিজ্ঞান এর সাথে একমত । প্রফেসর কিথমুর এটি প্রমান করেছেন। তিনি বলেছেনঃ “এটি আমার বলতে কোন আপত্তি নেই যে এই কোরআন আল্লাহর বানী এবং নবী মুহাম্মাদ আল্লার রাসুল”(সাঃ)

★ মানুষকে ৩টি স্তরে সৃষ্টি করা হয়েছে।[সুরা জুমার;৬]
মেডিকেল সায়েন্স বলছে ভ্রুন মায়ের পেটে ৩টি স্তরে আস্তে আস্তে বড় হয় ।

★ ভ্রুন ১১ ও ১২তম পাজরের হাড়ের মধ্যে থেকে বড় হয়।[সুরা তারিক;৫-৭]
মেডিকেল সায়েন্সে এটা প্রমানিত ।

★ নঘন্য পরিমান মিশ্র শুক্রানো থেকে সৃষ্টি হয় মানুষ।[সুরা সাজদাহ;৮]-
মেডিকেল সায়েন্সের মতে বলে শুক্রানোর কিছু অংশ থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়।



মানুষের সৃস্টি (B) 

বিবর্তন প্রাকৃতিক নির্বাচন ও পরিব্যক্তি এই দুই মৌলিক এিয়ার দ্বারা ঘটে বিবর্তনের জন্য গভীরতা বাড়তে বাড়তে এক পর্যায় জড় বস্তু থেকে জৈব বস্তু DNA (অনু) থেকে এক কোষী প্রানী ,আসতে আসতে জটিলতর প্রানী এবং এক পর্যায় মানুষ প্রানীর মাঝে আত্নসচেতনতার উদ্ভব হয়। 

আমার প্রশ্ন হল আল্লাহ আমাদের সৃস্টি না করলে ,এই ভাবে মানুষ এখন কেন সৃস্টি হইনা ? 

science কি theory তে বিশ্বাসী ?science তো fact এ বিশ্বাসী। evolution তো একটা theory !বই এর নামই হলো Charles Darwin Theory of Evolution ।Charles Darwin – the origin of peaches বইটি কি পড়েন নি? Charles Darwin একটি চিঠি পাঠালেন JOHN HERSCHEL এর কাছে ১৮৬১ সালে তিনি লিখেছেন আমি বিশ্বাস করি না Theory of Evolution কারন আমার কাছে কোন প্রুফ নেই।আমি এইটাকে শুধু মাএ বিশ্বাস করি এই কারনে- এইটা আমাকে সাহায্য করে classification of embryology,morphology 
(নিস্চয় ভাল কাজ মোমিন মানুষের লক্ষন।এইগুলো মানুষের কাছে পৌছে দিয়ে কিছু সওয়াবের অধিকারি হন।দয়া করে পেজটি শেয়ার করতে ভুলবেন না ভাই ও বোনেরা ধন্যবাদ )


★ ভ্রন তত্ব
নিয়ে বিজ্ঞান আজ
জেনেছে পুরুষই ( শিশু
ছেলে হবে কিনা মেয়ে হবে)
তা নির্ধারণ করে।

ভাবা যায়... কুরআন এই
কথা জানিয়েছে ১৪০০
বছর আগে।
( সূরা নজমের ৪৫, ৪৬
নং আয়াত,
সূরা কিয়ামাহ’র ৩৭- ৩৯
নং আয়াত)

★ একটি শিশু যখন
গর্ভে থাকে তখন
সে আগে কানে শোনার
যোগ্যতা পায় তারপর পায়
চোখে দেখার।

ভাবা যায়?
১৪০০ বছর আগের এক
পৃথিবীতে ভ্রুনের
বেড়ে ওঠার স্তর গুলো নিয়ে কুরআন
বিস্তর
আলোচনা করে।
যা আজ
প্রমাণিত !
( সূরা সাজদাহ আয়াত নং ৯ ,
৭৬ এবং সূরা ইনসান
আয়াত নং ২ )

★ সূরা কিয়ামাহ’র ৩ ও ৪
নং আয়াতে ১৪০০ বছর
আগেই
জানানো হয়েছে;
মানুষের আঙ্গুলের
ছাপ
দিয়ে মানুষকে আলাদা ভাবে সনাক্ত করা সম্ভব।

যা আজ
প্রমাণিত।

______



পৃথিবী, মহাকাশ ও নক্ষত্র সৃষ্টিতত্ত্বঃ


★ পৃথিবী উট পাখির ডিমের মত গোলাকার।[সুরা নাযিয়াত;৩০]
আজকের আধুনিক বিজ্ঞান বলছে পৃথিবী সম্পূর্ণ গোলাকার না, বরং একটু চাপট (কমলালেবুর মত) আর উট পাখির ডিমও কমলালেবুর মত। অর্থাৎ,পৃথিবী উট পাখির ডিমের মত।

★ মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল।[ সুরা যারিয়াত;৪৭]-
বিজ্ঞানীরা একমত । এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নায় ।

★ আমি(আল্লাহ্) আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ। [সুরা আম্বিয়া;৩২]-
বিজ্ঞান আমাদের বলছে বায়ুমন্ডল এর ওজন স্তর সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে পৃথিবীকে সুরক্ষন করে। কোরানে এই ওজন স্তর এর কথা বলছে।

★ সূর্য ও চন্দ্র নিজ নিজ কক্ষ পথে বিচরণ করে।[সুরা আম্বিয়া;৩৪]-
বিজ্ঞান কিছু বছর আগেও মনে করত সূর্য স্থির,কিন্তু মডার্ন সায়েন্স বলছে সূর্য ও চন্দ্র নিজ নিজ কক্ষ পথে বিচরণ করে, যা কোরআন প্রায় ১৪০০ বছর আগেই বলেছে।

★ সূর্য ও চন্দ্র নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবর্তন করে।[সুরা রদ/ রাদ;০২]-
বর্তমান বিজ্ঞান এর সাথে একমত।

★ আল্লাহ্ বায়ু প্রেরন করেন,ফলে তা মেঘমালাকে সঞ্চালিত
করে।[সুরা রুম;৪৮]
-বর্তমান বিজ্ঞান এর সাথে একমত।



★‘ বিগ ব্যাং’
থিওরি আবিষ্কার
হয়
মাত্র চল্লিশ বছর আগে।

সূরা আম্বিয়া ৩০
নং আয়াতে কুরআনে এই
কথা বলা হয়েছে প্রায়
১৪০০ বছর আগে।

★ পৃথিবীতে রাত
এবং দিন বাড়া এবং কমার
রহস্য
মানুষ জেনেছে দুশ
বছর আগে।

সূরা লুকমানের ২৯
নং আয়াতে কুরআন এই
কথা জানিয়ে গেছে প্রায়
দেড় হাজার
বছর আগে !!


★ চাঁদের আলো প্রতিফলিত আলো। [সুরা ফুরকান;৬১]-
বর্ত মান বিজ্ঞান এর সাথে একমত। চাঁদের আলো ধার করা ।




পাহাড় গুলোর জন্য ভুমিকম্প হয় নাঃ

সুরা নাবা (৭৮) ৬,৭ নং আয়াত – আমি কি পৃথিবীকে বিছানা বানিয়ে দিয়নি ,পাহাড় সুমহকে পেরেক রুপে গেড়ে দিয়নি?

সুরা লোকমান ১০ নং আয়াত – আমি পৃথিবীতে পাহাড় সুমহকে স্হাপন করেছি ,যাতে তা পৃথিবীকে স্হির রাখে আর যাতে তোমাদের দোলা না দেয়।

প্রতিটি উদ্ভিদের male & female আছে

সুরা তাহা (২০) ৫৩ নং আয়াত – তারপর বৃষ্টির পানি দিয়ে জোড়ায় জোড়ায় বিভিন্ন রকমের উদ্ভিদ বের করে আনি।

সুরা রাদ (১৩) ৩ নং আয়াত – প্রত্যেক ফল-মুল সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়।


পানি বিজ্ঞানঃ

★ পানি চক্রের কথা বিজ্ঞান
জেনেছে বেশি দিন
হয়
নি...

সূরা যুমার ২১
নং আয়াতে কুরআন এই
কথা বলেছে প্রায়
১৪০০
বছর আগে।


★ বিজ্ঞান এই
সেদিন জেনেছে লবণাক্ত
পানি ও
মিষ্টি পানি একসাথে মিশ্রিত
হয় না।

সূরা ফুরকানের ৫৩
নং আয়াতে কুরআন এই
কথা বলেছে প্রায়
১৪০০
বছর আগে।

শরীর ও চিকিৎসা বিজ্ঞানঃ

★ ইসলাম
আমাদেরকে ডান দিকে ফিরে ঘুমাতে উৎসাহিত
করেছে;
বিজ্ঞান এখন
বলছে ডান
দিকে ফিরে ঘুমালে হার্ট
সব থেকে ভাল থাকে।


★ ইসলাম মদ
পানকে হারাম
করেছে ,
চিকিৎসা বিজ্ঞান
বলছে মদ পান
লিভারের জন্য ক্ষতিকর।

★ ইসলাম শুকরের
মাংসকে হারাম
করেছে।

বিজ্ঞান
আজ
বলছে শুকরের মাংস লিভার, হার্টের
জন্য খুবই
ক্ষতিকর।


★ রক্ত পরিসঞ্চালন
এবং দুগ্ধ উৎপাদন এর ব্যাপারে আমাদের
চিকিৎসা বিজ্ঞান
জেনেছে মাত্র
কয়েক বছর আগে।

সূরা মুমিনূনের ২১
নং আয়াতে কুরআন এই
বিষয়ে বর্ণনা করে গেছে।

পোকা-মাকড়/ কীট-পতংগ বিদ্যাঃ

★ বিজ্ঞান এখন
আমাদের
জানাচ্ছে পিপীলিকা মৃত
দেহ কবর দেয়,
এদের বাজার পদ্ধতি আছে।

কুরআনের
সূরা নামল এর ১৭ ও ১৮
নং আয়াতে এই
বিষয়ে ধারণা দেয়।


পরমানু বিজ্ঞানঃ



পরমানুর ক্ষুদ্র কনা রয়েছে।[সুরা সাবা;৩]-
বর্তমান বিজ্ঞান এর সাথে একমত । ক্ষুদ্র কনা গুলো হল ইলেকট্রন,প্রোটন ,নিউট্রন।
পবিত্র কোরানে এরকম বহু আয়াত আছে ।
উপরের তথ্যগুলো বিজ্ঞান মাত্র ২০০-৩০০ বছর আগে প্রমান করেছে কিন্তু কোরআনে তা লিখা হয়েছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে। যেহেতু ১৪০০ বছর আগে কোন মানুষ
এসব তথ্য জানতো না সেহেতু কোন মানুষের পক্ষে এসব লিখা সম্ভব না ।
কোরআন মানব রচিত কোন গ্রন্থ নয় । এই কোরআন আমাদের স্রষ্টার বানী যিনি এই সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।তার পরও যারা কোরানকে আল্লাহর বানী বলে বিশ্বাস করে না তাদের ক্ষেত্রে আমি কোরআনের এই আয়াতটা বলবোঃ
“তারা অন্ধ তারা বধির,তারা দেখেও দেখে না শুনেও শুনে না”




0 Comments:

Post a Comment

 
Top
Blogger Template