মুলকথা :-

১) টাকনোর নিচে কাপড় থাকলে সেই অংশটুকু জাহান্নামে যাবে।

২) আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাদের দিকে ফিরেও তাকাবেন না বা রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না।

৩) এটা হল অহংকার। আর আল্লাহ অহংকার কারীকে পছন্দ করেন না।

৪) আল্লাহ এমন ব্যক্তির নামায গ্রহন করবেন না, যে তার লুঙ্গি-কাপড় ঝুলিয়ে দিয়ে নামায আদায় করে।নামায পড়ে ফেললে সেই নামায বাতিল পুনরায় ওযু করে নামায পড়তে হবে।

৫) নিয়ম হল হাটুর নিচে ও টাকনোর মধ্যবর্তী স্থানে পরা বা সমস্যা হলে টাকনোর উপরে কাপড় পরলেই হবে।


এই ৫ টি কথা নিচের সকল হাদিসের মুলকথা :-


জাবের ইবন সুলাইম রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, “টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে কাপড় পড়ার ব্যাপারে সাবধান হও। কারণ, তা অহংকারের অন-র্ভূক্ত। আর আল্লাহ অহংকার করাকে পছন্দ করেন না।” (আবু দাঊদ)।


আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত৷
তিনি বলেন,
নাবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন; ইযারের বা পরিধেয় বস্ত্রের যে অংশ পায়ের গোড়ালির গিঁটের নীচে (টাখনুর নিচে) থাকবে, সে অংশ জাহান্নামে যাবে৷
[সহীহ বুখারী হাঃ ৫৭৮৭],

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন; আল্লাহ কিয়ামত দিবসে সে ব্যক্তির দিকে (দয়ার)
দৃষ্টি দিবেন না, যে ব্যক্তি অহংকার বশতঃ ইযার বা পরিধেয় বস্ত্র পায়ের গিঁটের নিচে (টাখনুর নিচে) ঝুলিয়ে পরিধান
করে৷
[সহীহ বুখারী হাঃ ৫৭৮৮;
মুসলিম হাঃ ২০৮৭],

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পুরুষের শরীরের যে কোন পোশাক টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পড়া হারাম। পোশাক যদি টাখনুর নিচে ঝুলে যায়, তাহলে টাখনুর নিচের ঐ অংশকে জাহান্নামের অংশ বলে ধরা হল।
[বুখারী হাঃ ৫৪৫০],

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু একদিন এক লোক পায়ের গিঁটের নিচে (টাখনুর নিচে) লুঙ্গি-কাপড় ঝুলিয়ে নামায পড়ছিলো। তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যাও, পুনরায় ওযু কর। সে গিয়ে আবার ওযু করে এলো। তিনি আবার বললেন যাও, পুনরায় ওযু কর। একজন বললো ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! কেন আপনি তাকে ওযূ করার আদেশ দিচ্ছেন, তারপর নীরাবতা পালন করেছেন? তিনি বললেন : এ লোক তার লুঙ্গি-কাপড় পায়ের গিঁটের (টাখনুর নিচে) ঝুলিয়ে নামায পড়ছিলো। অথচ আল্লাহ এমন ব্যক্তির নামায গ্রহন করবেন না, যে তার লুঙ্গি-কাপড় ঝুলিয়ে দিয়ে নামায আদায় করে। এ হাদীসটি মুসলিমের শর্তে আবূ দাঊদ সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।
[আবূ দাঊদ হাঃ ৪০৮৬],

আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
একলোক গোডালির গিঁটের নিচে (টাখনুর নিচে) কাপড় পরিধান করে রাস্তা দিয়ে হাটছিল৷ হঠাৎ তাকে মাটির সাথে ধ্বসিয়ে দেওয়া হল৷ এভাবে কিয়ামত পর্যন্ত
লোকটি ধ্বসতেই থাকবে৷
[বুখারী]

এটি আবূ হুরাইরাহ
রাদিয়াল্লাহু আনহু
হতেও বর্ণিত হয়েছে৷
[বুখারী]



আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কিয়ামতের দিন তিন শ্রেনীর লোকের সাথে কথা বলবেন না, তাদের প্রতি ফিরে তাকাবেন না এবং তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্রও (মুক্ত) করবেন না। তাছাড়া তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন তিনবার কথাগুলি বললেন। আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! এসব বিফল মনোরথ ও বঞ্চিত কারা? তিনি বললেন :

(১) অহংকারবশে যে লোক লুঙ্গি-কাপড় পায়ের গিঁটের নিচে (টাখনুর নিচে) ঝুলিয়ে দেয়,

(২) উপকার করে যে লোক খোটা দেয় বা বলে বেড়ায় এবং

(৩) মিথ্যা শপথ করে যে লোক তার মালসামগ্রী বিক্রয় করে। হাদীসটি ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন। তার অপর এক বর্ণনায় রয়েছে : যে লোক তার লুঙ্গি হেঁচরিয়ে চলে।
[সহীহ মুসলিম হাঃ ১০৬; তিরমিযী হাঃ ১২১১; নাসায়ী হাঃ ১৫৬৩; আবূ দাঊদ হাঃ ৪০৮৭; ইবনে মাজাহ হাঃ ২২০৮],


ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তহবন্দ বা পায়জামা, জামা ও পাগড়ীই ঝুলিয়ে দেয়া হয়। যে লোক অহংকার বশত এমন কিছু ঝুলিয়ে দিবে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কিয়ামতের দিন তার প্রতি তাকাবেন না। হাদীসটি আবূ দাঊদ ও নাসায়ী সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।
[সহীহ আবূ দাঊদ, তাহক্বীক্ব আলবানী হাঃ ৩৪৫০, ৪০৯৪; সহীহ আল-জামি হাঃ ২৭৭],


হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি অহংকারের বশীভূত হয়ে নিজের কাপড় অত্যন্ত নিচে [টাখনুর নিচে] পরিধান করবে, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামত দিবসে তার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না। [বুখারি শরিফ, খ. ২, পৃ. ৮৬০]


ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অহংকারবশত যে ব্যক্তি তার বস্ত্র বা কাপড় পায়ের গিঁটের নিচে (টাখনুর নিচে) ঝুলিয়ে চলবে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কিয়ামতের দিন তার দিকে ফিরেও তাকবেন না। উম্মু সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, তাহলে মহিলারা তাদের আচঁলের ব্যাপারে কি করবে? তিনি বললেন, তারা পায়ের গিঁট থেকে এক বিঘত পরিমান ঝুলিয়ে রাখবে। উম্মু সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, এতে তো তাদের পা অনাবৃত হয়ে পড়বে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তাহলে তারা একহাত পরিমান নিচে পর্যন্ত ঝুলতে পারে, এর চাইতে বেশি যেন না ঝুলায়। এ হাদীসটি আবূ দাঊদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি হাসান সহীহ।
[সহীহ আল-জামি হাঃ ৬১৮৭; গাইয়াতুল মারাম হাঃ ৯০; সহীহ আবূ দাউদ হাঃ ৩৪৬৭, ৪০৮৫; তিরমিযী হাঃ ১৭৩১],


ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মুখ দিয়ে গেলাম। তখন আমার লুঙ্গি-কাপড় পায়ের গিঁটের নিচে (টাখনুর নিচে) ঝুলন্ত ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : হে আবদুল্লাহ! তোমার লুঙ্গি-কাপড় উপরে উঠাও। তা আমি উপরে উঠালাম। তিনি আবার বললেন : আরো উঠাও। আমি তা আরো উঠালাম। তাঁর নির্দেশক্রমে এভাবে আমি তা উঠাতেই থাকলাম। লোকদের মধ্যে একজন বললো, তা কতদূর উঠাতে হবে? তিনি বললেন পায়ের নলার অর্ধেক পর্যন্ত।
[মুসলিম হাঃ ২০৮৬],


ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অহংকার বশত যে লোক তার কাপড় পায়ের গিঁটের নিচে (টাখনুর নিচে) ঝুলিয়ে দেয়, কিয়ামতের দিন তার প্রতি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ফিরে তাকাবেন না। আবূ বাকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পায়জামা তো প্রায়ই ঝুলে যায়, আমি যদি সচেতন না থাকি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন তাদের মধ্য তুমি অন্তর্ভুক্ত নও, যারা অহংকারের বর্শবর্তী হয়ে কাপড় ঝুলিয়ে রাখে। হাদীসটি ইমাম বুখারী বর্ণনা করেছেন এবং এর অংশবিশেষ মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
[বুখারী হাঃ ৩৬৬৫, ৫৭৮৪; মুসলিম হাঃ ২০৮৫],


আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলিমের লুঙ্গি বা পায়জামা হাঁটু ও পায়ের গিঁটের বা টাখনুর মাঝামাঝি জায়গা পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। তবে তা পায়ের নলার মাঝখান হতে পায়ের গিঁটের মাঝামাঝি থাকাও দোষের নয়। যে অংশটুকু পায়ের গিঁটের নিচে (টাখনুর নিচে) থাকবে তা, জাহান্নামে যাবে। অহংকার বর্শবর্তী হয়ে যে ব্যক্তি লুঙ্গি বা পায়জামা নীচের দিকে ঝুলিয়ে দেয়, কিয়ামতের দিন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তার দিকে ফিরেও তাকবেন না। আবূ দাঊদ হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।
[সহীহ আবূ দাঊদ, তাহক্বীক্ব আলবানী হাঃ ৩৪৪৯, ৪০৯৩],


হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে শুনেছি, মুমিন বান্দাদের জন্য পায়জামা পরিধান করার (উত্তম ও সুন্দর) পদ্ধতি হলো 'নিছফ্ সাক্ব'- অর্ধহাঁটু পর্যন্ত পরিধান করা। অর্থাৎ পায়ের গোছার মধ্যখান পর্যন্ত বা অর্ধহাঁটু অথবা পায়ের গিঁটের মধ্যখান পর্যন্ত হলে গুনাহ হবে না, তা বৈধ। যা এর নিচে হবে, তা জাহান্নামে যাবে (তার পরিণাম জাহান্নাম)। বর্ণনাকারী বলেন, এ কথাটি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনবার বলেছেন। অতঃপর তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা ওই ব্যক্তির দিকে চোখ তুলেও তাকাবেন না, যে অহংকার ও বড়ত্বের বশীভূত হয়ে কাপড় হিঁচড়ে চলে। [আবু দাউদ শরিফ, ইবনে মাজাহ শরিফ]


হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.)-এর হাদিস থেকে অনুভূত হয়, মুমিনদের জন্য উত্তম হলো লুঙ্গি বা পায়জামা 'নিছফ্ সাক্ব'- অর্ধহাঁটু হওয়া। তবে পায়ের গিঁট পর্যন্ত পরিধান করা বৈধ। কিন্তু তারও নিচে পরিধান করা বৈধ নয়; বরং বড় গুনাহ, তার ওপর জাহান্নামের হুকুম এসেছে। (মারেফুল হাদিস, পৃ. ২৯০, খ. ২)


বিশর রাহিমাহুল্লাহ বললেন, একদা ইবনু হানযালিয়্যা রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আবূ দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে বললেন, আমাদের এমন কিছু কথা বলুন, আমারা যাতে লাভবান হই এবং আপনার ক্ষতি না হয়। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, খুরাইম আসাদী কি চমৎকার লোক। তার চূল যদি বেশি লম্বা না হতো এবং তার লুঙ্গি-কাপড় যদি পায়ের গিঁটের নিচে (টাখনুর নিচে) না পড়তো। কথাটি খুরাইমের কানে পৌঁছে গেল। কাঁচি নিয়ে তিনি দ্রুত কান পর্যন্ত নিজের চুল কেটে ফেললেন এবং নিজের পায়জামাটি হাটু ও পায়ের গিঁটের মাঝখানের অর্ধেক পর্যন্ত উঠিয়ে নিলেন। হাদীসটি আবূ দাঊদ উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।
[আবূ দাঊদ হাঃ ৪০৮৯],


আবূ জুরাই জাবির ইবনু সুলাইম রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে তিনি বলেন,
আমি বললাম, আলাইকাস সালামু ইয়া রাসূলুল্লাহ! এভাবে দুবার বললাম। তিনি বললেন : আলাইকাস সালাম বলো না। কারণ, আলাইকাস সালাম এটা হলো মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে সালাম, বরং বল, আসসালামু আলাইকা। আমি বললাম, আপনি কি আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন : হ্যাঁ আমি সেই আল্লাহর রাসূল, কোন বিপদ-মুসিবাতে পতিত হলে তুমি যাঁর কাছে দুআ করলে তা যিনি দূর করেন, দুর্ভিক্ষে পড়ে তুমি যার কাছে দুআ করলে তোমার জন্য যিনি শস্য উৎপন্ন করেন, জনমানবহীন অথবা পানিবিহীন প্রান্তরে তোমার সাওয়ারী হারিয়ে গেলে তুমি যার কাছে দুআ করলে তোমাকে যিনি তা ফিরিয়ে দেন। জাবির ইবনু সুলাইম রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বললাম, আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেন : কখনো কাউকে গালি-গালাজ করো না। জাবির ইবনু সুলাইম বলেন, এরপর কখনো আযাদ, গোলাম, উট, বকরীকেও আমি গালি দেইনি। উত্তম ও পুন্যের কোন কাজকে তুচ্ছ মনে করো না। তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে কথা বলবে। এটিও একটি সাওয়াবের কাজ। লুঙ্গি-কাপড় তোমার হাঁটুর নীচে অর্ধাংশ পর্যন্ত তুলে রাখবে। এতো দূর উঠাতে তোমার যদি বাঁধা থাকে তাহলে অন্তত পায়ের গিঁট (টাখনু) পর্যন্ত তুলে রাখবে। লুঙ্গি-কাপড় ঝুলিয়ে দেয়া থেকে বিরত থাকবে। কারণ, এটা অহংকারের অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা অহংকার পছন্দ করেন না। তোমাকে কেউ যদি গালি দেয় অথবা তোমার সম্পর্কে যা সে জানে সে বিষয়ে তোমার দুর্নাম করে, তার সম্পর্কে তুমি যা জানো, সে বিষয়ে তার দুর্নাম করো না। কারণ, এর খারাপ পরিণতি তারই উপর বর্তাবে। হাদীসটি সহীহ সনদসহকারে আবূ দাঊদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।
[তিরমিযী হাঃ ২৭২; সহীহ আল জামি হাঃ ৭৪০২; সহীহ হাদীস সিরিজ হাঃ ১৪০৩; সহীহ আবূ দাঊদ, তাহক্বীক আলবানী হাঃ ৩৪৪২, ৪০৪৮],








0 Comments:

Post a Comment

 
Top
Blogger Template