এ প্রসঙ্গে হাদিসের নীতিমালাঃ
দলীল নং-১
আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী(রহঃ) বলেন,
“দ্বঈফ হাদিসও একাধিক সনদে বর্ণিত হলে হাসান হাদিস এর পর্যায়ে পৌঁছে যায়।”
★মিরকাতঃ৩/৭৭পৃঃ,হাদিসঃ১০০৮
দলীল নং-২
তিনি অন্যস্থানে বলেন,
“একাধিক সনদে যদিও দ্বঈফ হাদিস বর্ণিত হয় তবে বর্ণিত ঐ হাদিস হাসান বলে গণ্য হবে বা উপনীত হবে”।
★মোল্লা আলী ক্বারীঃআসারুল মারফূআঃ৪৮১পৃঃ
দলীল নং-৩
আল্লামা কামালুদ্দীন ইবনে হুম্মাম(রহঃ) বলেন,
“হাদিসের সমস্ত রাবী দুর্বল প্রমানিত হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন তরিকায় বর্ণিত হওয়ার কারণে তা হাসানে পরিণত হয়ে যায়।”
★আল্লামা হুম্মামঃ ফতহুল কাদীরঃ১/৩০৬পৃঃ
দলীল নং-৪
ইমাম শারানী(রহঃ) বলেন,
“নিঃসন্দেহে জমহুর মুহাদ্দিসগণ দুর্বল হাদিসকে অধিক সনদে বর্ণিত হওয়ার কারণে দলীল হওয়ার যোগ্যতা রুপে মেনে নিয়েছেন এবং সেটিকে কোন সময় সহীহ আবার কোন সময় হাসানের সহিত মিলিয়েছেন।এই প্রকারের দুর্বল হাদিস সমূহ ইমাম বায়হাকীর সুনানে কোবরার মধ্যে পাওয়া যায়, যাকে ইমাম মুজতাহিদীন এবং আসহাবে আইয়াম্মা দলীল হিসেবে গ্রহণের জন্য ইচ্ছা পোষণ করেন।”
★ইমাম শারানীঃমিযানুল কোবরাঃ১/৬৮পৃঃ
দলীল নং-৫
ইমাম সৈয়ুতী(রহঃ) বলেন,
“মাতরুক ও মুনকার হাদিস বিভিন্ন তরিকায় বর্ণিত হওয়ার কারণে দ্বঈফ হাদিসের মর্যাদায় উপনীত হয়।আবার কখনো হাদিসে হাসানের মর্যাদায় উপনীত হয়ে থাকে।”
★ ইমাম সৈয়ুতীঃতাআকিবাত আলা মওজুআত,কিতাবুল মানাকিবঃ৭৫পৃঃ
দলীল নং-৬
আল্লামা শায়খ আবদুল হক মোহাদ্দেস দেহলভী(রহঃ) বলেনঃ
“আর দ্বঈফ হাদিস যদি বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হওয়ার দরুন হাসান লিগাইরিহী হওয়ার মর্যাদায় উপনীত হয়, তা দলীল হওয়া সম্পর্কে আলিমগণ একমত হয়েছেন”।
★আবদুল হক দেহলভী কৃতঃ মুকাদ্দামাতুশ শায়খঃ২৫পৃঃ
দলীল নং-৭
আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী(রহঃ) বলেন,
“যখন দ্বঈফ হাদিস অন্য কোন সনদ বা বর্ননা দ্বারা শক্তিশালী হয় অর্থাৎ- দুর্বলতা দূর হয়ে যায়, তখন তা হাসান লিগাইরিহী রুপে গৃহিত হবে”।
★উমদাদুল ক্বারী শরহে বুখারীঃ১/৯পৃঃ,দারুল ফিকর ইসলামিয়্যাহ,বৈরুত।
দলীল নং-৮
আল্লামা মুফতি আমিমুল ইহসান বারাকাতী(রহঃ) বলেন,
“আর দ্বঈফ হাদিস যদি বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়, গ্রহণীয় হওয়ার প্রমাণ দ্বারা শক্তিশালী হয়, তবে তা হাসান লিগাইরিহী হয়ে যাবে”।
★মিযানুল আখবারঃ৭পৃঃ