বিভিন্ন শতাব্দীর ইমামগনের মিলাদুন্নী (দুরুদ) পালনঃ
০১.
আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ বিন উমর বাহরুক (র:) ও খাজরামী শাফী (র:)-(মৃ:৮৬৯-৯৩০ হি:)
ওনারা পবিত্র মিলাদুন্নবী (দ) সম্পর্কে লিখেন-
এদিনের প্রকৃত অবস্থান হলো,যেহেতু এদিনে রাসূল (দ:) এর জন্ম হয়েছে সেহেতু এদিনে ঈদ উদযাপন করাই হচ্ছে প্রকৃত দাবী।
★ হাদাইকুল আনোয়ার ওয়া মাতালিউল আসরার ফি সিরাতিন নাবিইয়িল মুখতার গ্রন্থের ৫৩-৫৮ পৃ:
০২.
ইমাম ইবনে কাইয়্যুম (মৃ:-৭৫১ হি:)
ইমাম ইবনে কাইয়্যুম তার কিতাবে বলেন যে,
নবী করীম (দ:) ওনার মিলাদ মাহফিলে সুললিত কন্ঠস্বর শ্রবণ করা কিংবা ধর্মীয় বিষয় শ্রবণ করার মাধ্যমে অন্তরে প্রশান্তি লাভ হয়। কারণ নবী করীম (দ:) ওনার থেকে শ্রুতাকে নূর দেওয়া হয়ে থাকে।
★ মাদারেকুছ ছালিকিন-৪৯৮ পৃ:
০৩.
ইমামুল আল্লামাহ নাসিরুদ্দীন মোবারক ইবনে বাতাহ (র:):-
৪র্থ যুগের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমামুল আল্লামাহ নাসিরুদ্দীন মোবারক ইবনে বাতাহ (র:) পবিত্র মিলাদ সম্পর্কে নিজ ফতোয়ায় লিখেন,
মহানবী (দ:) ওনা জন্ম রাতে কোন ব্যক্তি কিছু অর্থকরি ব্যয় করলে এবং জনগনকে সমবেত করে তাদেরকে পানাহার করালে বা রাসূল (দ:) ওনার জন্ম সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস সমূহ এবং অলোকিক ঘটনা শুনালে তা যদি সব রাসূল (দ:) ওনার জন্মের প্রতি আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করার জন্য হয়ে থাকে তাহলে শরীয়ত মতে তা জায়েজ আর এসব কাজের জন্য সংশ্লীষ্ঠ কর্তাকে ছওয়াব প্রদান করা হয়,যদি তার উদ্দেশ্য ভাল হয়।
★ আদ-দুররুল মুনাজ্জম ফী আমলে ওয়া হুকমে মাওলিদুন নাবীয়্যিল আযম-পৃষ্ঠা-নং-১৯৭-১৯৮
০৪.
ইমাম জামাল উদ্দিন আল কাতানী (র:) :-
শায়খ ইমাম জামাল উদ্দিন আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল মালিক আল কাতানী (র:) পবিত্র মিলাদ সম্পর্কে লিখেন,
রাসূল (দ:) এর জন্ম দিনে বা অন্য কোন সময়ে ওনার জন্ম কাহিনী ও ঘটনাবলী আলোচনা করা
সম্মান, বুযুর্গী ও মাহত্ব লাভের জন্য নাযাত লাভের কারণ এবং তার জন্ম দিনে যারা আনন্দ ও খুশী প্রকাশ করে তাদের পরকালে শাস্তি হালকা ও কম হওয়ার কারণে পরিণত হয়।
★ সুবুলুল হুদা ওয়ার রাসাদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ-১ম খন্ড-পৃস্ঠা নং-৩৬৪.
০৫.
ইমামুল আল্লামা জহীর উদ্দিন ইবনে জাফর (র:):-
ইমামুল আল্লামা জহীর উদ্দিন ইবনে জাফর (র:) পবিত্র মিলাদ শরীফ সম্পর্কে লিখেন,
শরীয়াতে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠান করা হচ্ছে বিদাতে হাসানা। অনুষ্ঠানকারী লোকদের সমবেত করে অনুষ্টান করতে চাইলে সকলে হুযুর পাক (দ:) ওনার প্রতি দুরুদ পাঠ করতে এবং গরীব মিছকিনদের পানাহার করাতে ইচ্ছা করলে, এ নিয়মে ও এ শর্তে মিলদুন্নবী অনুষ্টান করলে এ জন্য তখন তাকে (আল্লাহ) ছ্ওয়াবও প্রদান করেন।★ সুবুলুল হুদা ওয়ার রাসাদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ-১ম খন্ড-পৃস্ঠা নং-৩৬৪.
০৬.
ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (র:) (1198–1252 AH / 1783–1836 AD)
আল্লামা ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (র:) মাওলিদ উন নবী উদযাপনকে তিনি আল্লাহর নৈকট্য লাভের মহান কর্ম বলে অভিহিত করে আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী (রহঃ) এর মাওলিদ গ্রন্থের ব্যখ্যায় বলেন,
জেনে রেখো,রাসূল (দ:) যে মাসে শুভ আগমণ করেছেন, সে মাসে মীলাদুন্নবী (দ) উপলক্ষে অনুষ্টান করা একটি উত্তম বিদাত (বিদআতে হাসানা)। তিনি আরো বলেন- রাসূল (দ:) ওনার জন্ম কাহিনী ও জীবনী শোনার এবং দুরুদ- সালামের মাহফিল অনুষ্ঠান করা আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম,
এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।
★ আল কাওলুল মুতামাদ ফিল মাযহাবিল হানাফী, আল আদিল্লাতু ফি জাওয়াজিল ইহিফায়ি ওয়াল ইহতেফালু বি মাওলিদি সাইয্যিদাল বাসির (দ:).