প্রায় ১৪০০ বছর আগে,নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যে চিকিৎসার কথা বলেছিলেন - সুবহানাল্লাহ
দয়াল নবীজির বলে যাওয়া সে চিকিৎসা, আজকালকার ডা: বিজ্ঞানীর উত্তম পছন্দের পরামর্শ।
ডা: এর ভাষায় যাকে Cupping বলে।
যে চিকিৎসার উপকারিতা মানুষের অপরিসীম বললেই চলে। বিষাক্ত রক্ত মানব শরীর থেকে নির্গত করে দেয়।
হযরত আবু হুরাইরা (রদিয়াল্লাহু) থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মানুষ চিকিৎসার জন্য যতসব উপায় অবলম্বন করে, তম্মধ্যে হিজামাই হল সর্বোত্তম।” আল-হাকিম, হাদীছ নম্বর : ৭৪৭০
হযরত আনাস (রদিয়াল্লাহু) থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “আমি মেরাজের রাতে যাদের মাঝখান দিয়ে (ফেরেশতা) গিয়েছি, তাদের সবাই আমাকে বলেছেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ, আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করবেন।” সুনানে তিরমিযী হাদীছ নম্বর : ২০৫৩
হযরত আনাস (রদিয়াল্লাহু) থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “গরম বৃদ্ধি পেলে হিজামার সাহায্য নাও। কারণ, কারো রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে তার মৃত্যু হতে পারে।” আল-হাকিম, হাদীছ নম্বর : ৭৪৮২
হযরত জাবির (রদিয়াল্লাহু) থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “নিশ্চয় হিজামায় অনেক কঠিন রুগের শেফা রয়েছে।” ছহীহ মুসলিম, হাদীছ নম্বর : ২২০৫
হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর (রদিয়াল্লাহু) থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “খালি পেটে হিজামাই সর্বোত্তম। এতে শেফা ও বরকত রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বোধ ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর : ৩৪৮৭
হযরত আবদুল্লাহ্ বিন আব্বাস (রদিয়াল্লাহু) থেকে বর্ণিত : রসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “হিজামাকারী কতই উত্তম লোক। সে দূষিত রক্ত বের করে মেরুদন্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।” সুনানে তিরমিযী, হাদীছ নম্বর : ২০৫৩
এছাড়াও চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত আরো অনেক হাদিস রয়েছেঃ এর মধ্যে কিছু উল্লেখ করা গেল।
★ মানব দেহে একটা মাংস পিন্ড আছে যা সুস্থ থাকলে পুরো দেহ সুস্থ থাকে, আর অসুস্থ হলে পুরো দেহ অসুস্থ হয় আর তা হল কলব (হৃদপিন্ড)। (আল-হাদিস) এজন্য Heart কে সুস্থ রাখতে ডান কাতে ঘুমানো সুন্নাহ।
★ তাছাড়াও কালো জিরা, মধু, দুগ্ধ, পানি, খেজুর, লাউ, জয়তুন ও অগনিত অন্যান্য খাদ্যের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও উপকারীতা নিয়েও অসংখ্য হাদিস বর্নিত আছে।
★ মাছির এক ডানায় থাকে জীবাণু অন্য ডানায় তার প্রতিষেধক। (আল-হাদিস)
এমনকি মানবদেহের গ্রন্থিসমূহ সম্পর্কেও হাদিস আছে।
যাই হোক এ ব্যাপারে তিব্বে নববী বইটি পড়তে পারেন।
--------------------------------------------------------------
১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা
২। রক্তদূষণ
৩। উচ্চরক্তচাপ
৪। ঘুমের ব্যাঘাত (insomnia)
৫। স্মৃতিভ্রষ্টতা (perkinson’s disease)
৬। অস্থি সন্ধির ব্যাথা/ গেটে বাত
৭। ব্যাক পেইন
৮। হাঁটু ব্যাথা
৯। দীর্ঘমেয়াদী সাধারন মাথা ব্যাথা
১০। ঘাড়ে ব্যাথা
১১। কোমর ব্যাথা
১২। পায়ে ব্যাথা
১৩। মাংসপেশীর ব্যাথা (muscle strain)
১৪। দীর্ঘমেয়াদী পেট ব্যথা
১৫। হাড়ের স্থানচ্যুতি জনিত ব্যাথা
১৬। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
১৭। সাইনুসাইটিস
১৮। হাঁপানি (asthma)
১৯। হৃদরোগ (Cardiac Disease)
২০। রক্তসংবহন তন্ত্রের সংক্রমন
২১। টনসিলাইটিস
২২। দাঁত/মুখের/জিহ্বার সংক্রমন
২৩। গ্যাস্ট্রিক পেইন
২৪। মুটিয়ে যাওয়া (obesity)
২৫। দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ (Chronic Skin Diseses)
২৬। ত্বকের নিম্নস্থিত বর্জ্য নিষ্কাশন
২৭। ফোঁড়া-পাঁচড়া সহ আরো অনেক রোগ।
২৮। ডায়াবেটিস (Diabetes)