Latest News


★ নামাজের শর্তাবলী, যথা: -

(১) ইমান আনা
(২) ভাল-মন্দ পার্থক্যের হিতাহিত জ্ঞান থাকা
(৩) শরীর পাক নাপাকমুক্ত
(৪) অজু করা
(৫) সতরে আওরাত অর্থাৎ লজ্জাস্থানসহ শরীরের নির্ধারিত অংশ আবৃত রাখা
(৬) ওয়াক্তে নামাজ আদায় করা
(৭) কেবলামুখী হওয়া এবং
(৮) নিয়ত করা।

★ নামাজ বাতেল করে এমন বিষয় আটটি; যথা:-

১) জেনে-শুনে ইচ্ছাকৃত কথা বলা। না জানার কারণে বা ভূলে কথা বললে তাতে নামাজ বাতেল হয় না,
(২) হাসি,
(৩) খাওয়া,
(৪) পান করা,
(৫) লজ্জাস্থানসহ নামাজে অবশ্যই আবৃত রাখতে হয় শরীরের এমন অংশ উন্মুক্ত হওয়া,
(৬) কিবলার দিক হতে অন্যদিকে বেশী ফিরে যাওয়া,/যদি কিবলার দিক না জানা থাকে তবে যে কোন দিকে ফিরে নামাজ আদায় করা যায় কারন নিয়তে আপনি বলছেন কিবলা মুখি হয়ে নামাজ আদায় করছি আবে কিবলার দিক জানার চেস্টা করে কিবলা মুখি হওয়া নামাজের আবশ্যিক শর্ত। (৭) নামাজের মধ্যে পর পর অহেতুক কর্ম বেশী করা,
(৮) অজু নষ্ট হওয়া।



★ নামাজের রুকুন চৌদ্দটি; যথা :-


(১) সমর্থ হলে দণ্ডায়মান হওয়া,
(২) ইহরামের তাকবীর,
(৩) সূরা ফাতেহা পড়া,
(৪) রুকুতে যাওয়া,
(৫) রুকু হতে উঠে সোজা দণ্ডায়মান হওয়া,
(৬) সিজদা করা,
(৭) সিজদা থেকে উঠা,
(৮) উভয় সিজদার মধ্যে বসা,
(৯) নামাজের সকল কর্ম সম্পাদনে স্হিরতা অবলম্বন করা,
(১০) সকল রুকুন ধারাবাহিকভাবে তরতীবের সাথে সম্পাদন করা,
(১১) শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়া,
(১২) তাশাহ্‌হুদ পড়া কালে বসা,
(১৩) নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর দরুদ পড়া (১৪) ডানে ওবামে দুই সালাম প্রদান।


★ নামাজের ওয়াজিবসমূহ; এগুলোর সংখ্যা আট। যথা: -

(১) ইহ্‌রামের তাকবীর ব্যতীত অন্যান্য তাকবীরগুলো
(২) ইমাম এবং একা নামাজীর পক্ষে سَمِعَ للهُ لِمَنْ حَمِدَه বলা।
(৩) সকলের পক্ষে رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْد বলা
(৪) রুকুতে سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ বলা
(৫) সিজদায় سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأعْلى বলা।
(৬) উভয় সিজদার মধ্যে رَبِّ اغْفِرْ لِيْ বলা
(৭) প্রথম তাশাহ্‌হুদ পড়া
(৮) প্রথম তাশাহ্‌হুদ পড়ার জন্য বসা।


★ নামাজের সুন্নতসমূহ (পুরুষদের ক্ষেত্রে) : তন্মধ্যে কয়েকটি হলো: -

(১) নামাজের শুরুতে প্রারম্ভিক দো‘আ বা তাস্‌বীহ পড়া;
(২) দাড়ানো অবস্থায় ডান হাতের তালু বাম হাতের উপর রেখে পেটের বা মহিলাদের জন্য বুকের উপর ধারণ করা।
(৩) অঙ্গুলিসমুহ সংযুক্ত ও সরল রেখে উভয় হাত উভয় কাঁধ বা কান বরাবর উত্তোলন করে তাকবীরে তাহরীমা দেয়া অত:পর তাকবীরের সময় আর হাত না উঠানো ।
(৪) রুকু এবং সিজদায় একাধিকবার তাসবীহ পড়া।
(৫) উভয় সিজদার মধ্যে বসে একাধিকবার মাগফিরাতের দু‘আ পড়া।
(৬) রুকু অবস্থায় পিঠ বরাবর মাথা রাখা।
(৭) সিজদাবস্থায় বাহুদ্বয় বক্ষের উভয় পার্শ্ব হতে এবং পেট উরুদ্বয় হতে ব্যবধানে রাখা।
(৮) সিজদার সময় বাহুদ্বয় যমীন থেকে উপরে উঠায়ে রাখা।
(৯) প্রথম তাশাহ্‌হুদ পড়ার সময় ও সিজদার মধ্যবর্তী সময় বসা
(১০) শেষ তাশাহ্‌হুদে ‘তাওয়াররুক’ করে বসা।
(১১) প্রথম ও দ্বিতীয় তাশাহুদে বসার শুরু থেকে তাশাহ্‌হুদ পড়ার শেষ পর্যন্ত শাহাদাত অঙ্গুলী দ্বারা ইশারা করা।
(১২) প্রথম তাশাহ্‌হুদের সময় মুহাম্মদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর পরিবার-পরিজন এবং ইব্রাহীম (আ) ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর দরুদ ও বরকতের দু‘আ করা।
(১৩) শেষ তাশাহ্‌হুদে দু‘আ করা।
(১৪) ফজর, জুমআ’, উভয় ঈদ ও ইস্তেসক্বার নামাজে এবং মাগরিব ও এশার নামাজের প্রথম দুই রাকাআতে উচ্চঃস্বরে ক্বিরাত পড়া।
(১৫) জোহর ও আছরের নামাজে, মাগরিবের তৃতীয় রাকআ‘তে এবং ইশার শেষ দুই রাকআ‘তে চুপে চুপে ক্বিরাত পাড়া।
(১৬) সূরা ফাতেহার পর অতিরিক্ত সুরা পড়া।
(১৭) ইমামের পিছনে সালাত আদায় করলে মুক্তাদীর চুপ থাকতে হবে।

0 Comments:

Post a Comment

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top
Blogger Template